৭.১ নাবিকদের জন্য যথোপযুক্ত আয়
ধাপ ১: বেতন প্রদান/ ক্ষতিপুরণ রেকর্ডভুক্ত করা হয় এবং সেটা কাজের চুক্তি অনুযায়ী করা হয়ে থাকে। কাজের চুক্তিগুলি তাদের প্রয়োজনীয় পেমেন্টের বিষয়টি প্রদর্শন করে থাকে এবং পেমেন্ট পরিশোধ করা হয়েছে তা রেকর্ডের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। কাজের চুক্তিতে নিয়োগকারী এবং কর্মচারী সম্পর্কটি সুষ্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন্। একটি শেয়ারিং সিষ্টেমের ব্যতিক্রম তৈরি করা প্রয়োজন এবং অন্য কোন উপায়ে সম্ভাব্য পেমেন্ট পরিশোধকরন যা অবশ্যই আইনসিদ্ধ হতে হবে। বকেয়া ঋণ পরিশোধের বিষয়টিও নথিভূক্ত করতে হবে।
ধাপ ২: পেমেন্ট প্রদান/ক্ষতিপূরণটি হতে হবে ন্যূনপক্ষে জাতীয় মাপকাঠি অনুযায়ী কিংবা তার বেশি। পেমেন্ট প্রদানের বিষয়টি রেকর্ডের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়ে থাকে যা ন্যূনপক্ষে জাতীয় মাপকাঠি অনুযায়ী সমান, ঠিক সময়ে, ক্ষতিপূরনের চুক্তি অনুযায়ী এবং সরাসরি কর্মচারীকে।
ধাপ ৩: নাবিকদের জন্য উপযুক্ত পারিশ্রমিক। বেতনের নথিপত্র- এটাও কিছু বেতন থেকে কিছু বাট্টা কেটে নেয়ার জন্য কিছু রেফারেন্স অন্তর্ভূক্তির ব্যবস্থা রাখবে (কিংবা বাট্টার কারণগুলি নিযুক্তির চুক্তিপত্রে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে)। অসদ উপায়ে কর্তনের কোন নজির থাকবে না, দায়বদ্ধ শ্রমিকসহ (বন্ডেড লেবর) ইত্যাদি।
৭.২ সাগরে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা
ধাপ ১: লাইফ জ্যাকেট, জরুরী পানি এবং মৌলিক নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ। রেডিও এবং/মোবাইল ফোন (উপকূলীয়)। মোলিক নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম মান্য করার বিষয়ে প্রমাণক থাকতে হবে।
ধাপ ২: স্থানীয় সমুদ্র উপকুলীয় সেবা কর্তৃপক্ষের সহিত প্রাত্যহিক বেতার যোগাযোগ রক্ষা করা যা জাহাজ এবং নাবিকগণের জন্য সব দিক দিয়েই মঙ্গল। উন্নতমানের নিরপত্তা প্রশিক্ষণ। মৌলিক নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ এবং সাগরে থাকাকালীন প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ। তা মান্য করার প্রমাণক। নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ এবং রেকর্ডভূক্তিকরণ। প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রী, প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম, লাইফবোট, লাইফ-জ্যাকেট এবং রক্ষামূলক পরিধেয় বস্তু (বুট, হেলমেট, মোজা, ভেন্টিলেশন মাস্ক, ইত্যাদি)
ধাপ ৩: সাগরে নির্বাসিত হওয়া। জাহাজ বন্দরে প্রবেশ এবং বন্দর হতে বাহির জ্ঞাতকরুন, যা জাহাজের তালিকাভুক্ত সকল নাবিকগণকে অন্তর্ভূক্ত করে থাকে। নাবিকগণের তালিকায় জেলেদের ছবি থাকবে। স্বাস্থ্যগত কারণে যদি তাদেরকে বাড়ি ফিরতে হয় তবে তারা বাড়ি ফিরতে পারবেন।
ধাপ ৪: ইপিআইআরবি’স৩ /কিংবা লাইফবোট এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং সাগর বিধিমালা মেনে চলা। জাহাজ বন্দরে প্রবেশ এবং বন্দর হতে বাহির হওয়ার সময় নাবিকগণেরে ইলেক্ট্রনিক তালিকা বন্দরে জমা করতে হবে। স্পেয়ার পার্টস এবং সমস্যা সমধানের জন্য প্রশিক্ষণ। নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ এবং পরিদর্শন। মানিয়া চলা হচ্ছে তার প্রমাণক।
৭.৩ কর্ম ঘন্টা
ধাপ ১: নিয়োগকারী এবং কর্মচারীগণের মধ্যে কর্মঘন্টার চুক্তি করা। কাজের চুক্তি মোতাবেক বন্দোবস্তকরণের প্রমাণক।
ধাপ ২: ন্যুনতম বিশ্রাম কাল পালন। দৈনিক ন্যূনতম বিশ্রাম ঘন্টা হচ্ছে = ১০ ঘন্টা (৭৭ ঘন্টা/সপ্তাহ)। ন্যূনতম বিশ্রাম ঘন্টা পালনের প্রমাণক (যদি কর্মজীবিদেরকে থামার প্রয়োজন হয় তবে তারা অবশ্যই থামবেন)।
ধাপ ৩: ভুমিতে মাসে ন্যুনতম সংখ্যক # কর্ম-অব্যাহতি দিন এবং একবার গমন করলে সাগরে সর্বোচ্চ সংখ্যক দিন। লগ বই যাচাই করা যা বন্দরে আটকে থাকার প্রমান বহন করে।
৭.৪ অভিযোগের মিমাংসা প্রক্রিয়া
ধাপ ১: মৌলিক অভিযোগ মিমাংসা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। রেকর্ড রাখার মতো একটি হটলাইন সিষ্টেমে চালু রাখার প্রমাণক রাখতে হবে।
ধাপ ২: অভিযোগ মিমাংসা ব্যবস্থা কার্য়করীভাবে এবং সততার সহিত এর কর্মকান্ড চালাচ্ছে। এটা কর্মচারীগণের নিয়োগ চুক্তির মধ্যে নথিভূক্ত করতে হবে যার বাস্তবতা হবে যে কাজ করার পূর্বে কোন ‘‘জামানত’’ গ্রহন করা যাবে না। অভিযোগের রেকর্ড এবং তার প্রতিকার।
ধাপ ৩: কর্মজীবিদের জন্য এসোসিয়েশন গঠনের স্বাধীনতা রয়েছে। কর্মজীবিদের সংঘ যে চালু আছে তা প্রদর্শনের জন্য প্রমাণক রাখা কিংবা কোন সংঘকে ভেঙ্গে দেয়ার কোন নজির থাকবে না।
৭.৫ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা
ধাপ ১: পরিষ্কার খাবার পানি। চাক্ষুস পরিদর্শন, অবাধ স্পট পরিদর্শন, অগ্রগতির ব্যবস্থা কিংবা পানির যথাযথ গুণাগুণ সংক্রান্ত প্রমাণক।
ধাপ ২: স্বাস্থ্য সম্মত আবাসন। চাক্ষুস পরিদর্শন, অবাধ স্পট পরিদর্শন এবং অগ্রগতির ব্যবস্থা।
ধাপ ৩: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ওয়াশ রুম এবং প্রসাধনীয় সুবিধা। চাক্ষুস পরিদর্শন, অবাধ স্পট পরিদর্শন এবং অগ্রগতির ব্যবস্থা এবং / কিংবা পরিষ্কারে রেকর্ড।
পূর্বের পাঠপরবর্তী পাঠ