4.1 পেশী এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সহযোগিতা
ধাপ ১: ব্যবস্থাপনা কার্য্যক্রমে আগ্রহী সকল ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদেরকে যে অংশীদার সনাক্তকরণের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সনাক্ত করা হয়েছে তার প্রমাণক রাখা। সনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার পর্য়্যালোচনা করা, প্রাসঙ্গিক ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাক্ষাতকারের ব্যবস্থা করা। সভার কার্য়বিবরণী, সার-সংক্ষেপ, পন্থ্যাসমুহ, ইত্যাদি। ফোরামের জন্য ঘোষনা কিংবা বিজ্ঞাপনের প্রমাণক রাখা (খবরের কাগজ, ওয়েবসাইট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইত্যাদি)। সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদারগণের জন্য ঘোষনা সমূহের জন্য অনুবাদের ব্যবস্থা করা।
ধাপ ২: বন্দোবস্তের ব্যাপারে তথ্যাদি জানানোর সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য অন্তর্তপক্ষে মৎস্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ চিহ্নিত অংশীদারগণের সহিত পরামর্শ করা। মৎস্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যে অংশীদারগণের সহিত নিয়মিতভাবে মৎস্যের অবস্থা ও বন্দোবস্তের ব্যাপারে আলোচনার জন্য বসেন তার প্রমাণক রেখে দেয়া। জেলে সম্প্রদায়, মৎস্য শিল্পসহ অংশীদারগণের দ্বারা কোন অভিযোগের চিহ্ন থাকবে না। সভার কার্য়বিবরণী, সার-সংক্ষেপ, যা অংশগ্রহনকারীর সংখ্যা, পস্তাবিত আলোচ্য বিষয় ইত্যাদি পর্য়ালোচনা করা।
ধাপ ৩: পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য যাচাইযোগ্য চুক্তির কাঠামো, অভিযোগের ফয়সালা করা, চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী অংশীদারগণের জন্য শক্তিশালী খাদ্য, নিরাপত্তা/জীবিকার সংযোগের ব্যবস্থা রাখা।
ধাপ ৪: সেখানে এক সহযোগী ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা থাকবে যা ফিশারী পরিচালনার জন্য ব্যবস্থাপনার নীতিমালা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে অংশীদারগণের অংশগ্রহনের জন্য সক্রিয়ভাবে সহায়তা দিয়ে থাকবে। ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বন্দোবস্তের ব্যবস্থা রাখা হবে।
ধাপ ৫: অংশীদারগণকে নির্ধারণ করতে হবে যে অধিকার ভিত্তিক কোন বন্দোবস্তের প্রশাসনিক কাঠামোটি যথাযথ কিনা। সেক্ষেত্রে অংশীদারগণের মতামতের প্রমাণক রাখতে হবে।
৪.২ বলবতকরণের কার্য়করিতা
ধাপ ১: বলবতকরণের ক্ষেত্রে চাহিদা এবং সীমাবদ্ধতা এবং/অথবা তার পর্য়্যবেক্ষণকে সনাক্তকরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট, সভার কার্য়বিবরণী কিংবা জিএপি (GAP) বিচার-বিশ্লেষণ। এটাকে ঝুকি ভিত্তিক পর্য়বেক্ষণ মুল্যায়ন, নিয়ন্ত্রণ এবং নজরদারীতে রাখা যেতে পারে।
ধাপ ২: Eকিছু কিছু নিয়ম-কানুন যে কার্য়করী করা হয়েছে তার প্রমাণক রাখা। ফিশারী এজেন্সিগুলোর জলযানের সংখ্যা, অপারেশনের ধরন, সাগরে অবস্থান কাল, সাগরে আহরনের সংখ্যা, এবং জলযানগুলি পর্য়াপ্ত পরিমানে যে ফিশারী এলাকার আশে-পাশে ছড়িয়ে আছে তার প্রতিবেদন। আইন অমান্য করাকে দুরীকরনের লক্ষ্যে ব্যক্তি বিশেষের উপড় আরোপিত মঞ্জুরী এবং জরিমানা যথেষ্ট বেশি হবে এবং সেটা জনসম্মুখে তুলে ধরতে হবে (অথবা আইন দ্বারা রক্ষিত হবে)। সাগরে পর্য়বেক্ষণ, পরিদর্শন চালাতে হবে। অবৈধ মাছ ধরার নৌকা ধৃত, আটককৃত কিংবা নিশ্চিহ্ন করে দেয়া সংখ্যা রাখতে হবে।
ধাপ ৩: প্রাসঙ্গিক আইনগত চাহিদার নিরীক্ষে বিধি-বিধান যে সুদৃঢ়ভাবে বলবত করা হচ্ছে এবং তা মানা হচ্ছে তার প্রমাণক রাখা (রাষ্ট্রীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আইন যা ফিশারীর সহিত সংশ্লিষ্ট) এবং আইইউইউ আহরণ বিধিমালা জানা যা <২৫% । কিছু সংখ্য ফিশারিজ আইন ভঙ্গ করা এবং সে জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহনের লক্ষ্যে ফিশারিজ ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক আদালতের মামলা, পত্রিকার প্রকাশ ইত্যাদির প্রতিবেদন পেশ করা। মান্য করার প্রমাণক যেখান থেকে প্রদর্শন করা যেতে পারে তা হলো:
- পরিদর্শন/টহলের সংখ্যা
- উদঘাটিত আইন ভঙ্গের সংখ্যা, এবং
- সফলভাবে প্রয়োগকৃত আইনী ব্যবস্থার সংখ্যা
আইন মান্য করার মাত্রা বাড়তে থাকলে, , (২) এবং (৩) কালের ব্যবধানে শিথীল হবে যখন (১) বলবত হবে।
৪.৩ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা
ধাপ ১: অংশীদারগণের মধ্যে চুক্তি করা যে দীর্ঘসময় ধরে ব্যবহারযোগ্যতার জন্য ফিশারীতে যথেষ্ট পরিমানে ব্যবস্থাপনার পয়োজন। একটি সভার রেকর্ড এবং অংশীদারগণের চুক্তির প্রমাণক।
ধাপ ২: ফিশারীকে নিয়ন্ত্রণার্থে ব্যবস্থাপনার বন্দোবস্ত চালু রাখা। বন্দোবস্তকরণ হবে স্পর্ষ্ট, সহজেই বোধগম্য, এবং তা জেলেদের নাগালের মধ্যে থাকবে।
ধাপ ৩: একটি বন্দেবস্তকরণ পরিকল্পনা জনসাধারনের নাগালের মধ্যে থাকবে যেখানে পর্য়্যাপ্ত প্পরিামনে অর্থের যোগান থাকবে। ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা পর্য়্যালোচনার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং সেটার জন্য একটি অনুমোদিত বাজেট থাকবে।
৪.৪ আহরণ সক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে
ধাপ ১: মৎস্য আহরনের জন্য সাগরে অপারেশন চালনাকারী ব্যক্তি ও জলযানোর সংখ্যা জানা থাকবে। মৎস্য আহরনে অংশগ্রহনকারী ব্যক্তিবর্গের অফিসিয়াল রেকর্ড থাকবে।
ধাপ ২: মৎস্য আহরনে অংশগ্রহনকারী সকল নৌকা (অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক) অবশ্যই রেজিষ্টার্ড/লাইসেন্সভূক্ত হতে হবে। নৌকা এবং মৎস্য আহরণ কার্য়কলা্প যে অনুমোদিত তার প্রমাণক থাকতে হবে। মৎস্য আহরণকারীগণ/জলযান মালিকগণকে নিবন্ধন নম্বর কিংবা সনাক্তকরণ ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে।
ধাপ ৩: ফিশিং গিয়ারের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং সময়/এলাকা বিশেষে বন্ধ (সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা কার্য়্যক্রম বলবৎ করতে হবে)। এই সকল ব্যবস্থার মধ্যে এক বা একাধিক ব্যবস্থা যে কার্য়করী করা হচ্ছে বা হবে তার প্রমাণক রাখা।
ধাপ ৪: ইনপুট বা আউটপুট কিংবা তার উভয়টাই নিয়ন্ত্রণ করা যেন (ষ্টক লিমিট রেফারেন্সের উদ্ধে থাকে (LRP) যা মৎস্য আহরণকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এই নিয়ন্ত্রণ যে মৎস্য আহরণকে নিয়ন্ত্রণ করে তার প্রমাণক রাখা।
৪.৫ ফ্লিট ক্যাপাসিটি ব্যবস্থাপনা
ধাপ ১: ক্যাপাসিটি ম্যানেজমেন্টের ভিত্তিতে অংশীদারগণকে সরকারের সহিত একীভূত করা হয়ে থাকে। ক্যাপাসিটি ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত গ্রহনকালে অংশীদারগণের অংশগ্রহন প্রক্রিয়াটি প্রমাণিত এবং যাচাইকৃত হয়ে থাকে সভার পরামর্শগ্রহন কার্য়বিবরণীর মাধ্যমে যেখানে থাকবে তারিখ, স্থান, কে কে অংশগ্রহন করেছেন, লক্ষ্য কি ছিল, এবং ফলাফল কি ছিল।
ধাপ ২: ফিশারী কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে তার উপড় চুক্তি (কতগুলি জলযান থাকবে, জালের আকার কি হবে, আহরণ বন্টন ইত্যাদি নির্ধারণ করা)। সভার কার্য়বিবরণী হতে যে ঐক্যমত্য গ্রহন করা হয়েছে যেখানে তারিখ, স্থান, কারা কারা অংশগ্রহন করেছেন, লক্ষ্য কি ছিল, এবং ফলাফলটি কি হয়েছে ইত্যাদি উল্লেখ রয়েছে তার প্রমাণক রাখা। সভার কার্য়বিবরণী ছাড়াও, নিযক্তির অন্যান্য প্রমাণক গুলি বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। ফিশিং ক্যাপাসিটি নির্ধারণের জন্য বৈজ্ঞানিক, অর্থনৈতিক কিংবা অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পরিক্ষার নীরিক্ষাগুলিকে বুনিয়াদ বা দিক-নির্দেশনা হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
ধাপ ৩: ফ্লিট ক্যাপাসিটি নিয়ন্ত্রনের জন্য আনুষ্ঠানিক চুক্তি ব্যবস্থা থাকবে (প্রয়োজনবোধে ক্যাপাসিটি কমিয়ে আনার ব্যবস্থাসহ)। আনুষ্ঠানিক চুক্তিকে চালু রাখা এবং পর্য়ালোচনা করা এবং এই চুক্তির কার্য়করীতা নিয়মিত পর্য়ালোচনা করা।
পূর্বের পাঠপরবর্তী পাঠ