mFish বৈশ্বিকভাবে উন্মুক্ত অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি উদ্যোগ যা বাণিজ্যিকভাবে সাশ্রয়ী মোবাইল প্রযুক্তির ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বাস্তবধর্মী সমাধান সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে মৎসখাতকে আরো ব্যবহারযোগ্য করা এবং জেলে এবং তাদের সম্প্রদায়ের জীবন-যাত্রার উন্নয়ন করা।
বাধা
বিগত কয়েক দশকে, উন্নয়নশীল দেশ সমুহের অল্প কিছু জেলে ক্রমবর্ধমান হারে কিছু বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছেন। অতিরিক্ত হারে মাছ ধরার কারণে তাদের মাছের পরিমান কমে আসছে। তারা তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য অধিক পরিমানে মাছ ধরার আশায় তারা জ্বালানির পিছনে অধিক পরিমানে টাকা খরচ করছেন এবং সময় ব্যয় করছেন। এছাড়াও, তারা সম্ভবত অবৈধভাবে মাছ ধরার বড় ধরনের নৌকাগুলির সাথে ক্রমবর্ধমান হারে প্রতিযোগিতার স্বীকার হচ্ছেন। যেখানে মানুষের খাওয়ার জন্য অল্প পরিমানে আসা শতকরা ৫০% মাছ আসছে এসব প্রাকৃতিক উৎস থেকে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসকল দরিদ্র জেলে সম্প্রদায়ের জীবন তাদের ভাগ্যের উপড় নির্ভর করে থাকে। ইতোমধ্যেই ২০১৪ সাল নাগাদ সারা বিশ্ব জুড়ে সক্রিয় মোবাইলের ব্যবহার বিশ্বের মানুষের সংখ্যাকে অতিক্রম করে ৭.৩ বিলিয়নে পৌছেঁ গেছে বলে আশা করা হচ্ছে। মোবাইল ফোনের বৃদ্ধি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়া ও তার ব্যবহার মোবাইলের ভিত্তিকে যতদুর সম্ভব জীবিকার উন্নয়নের কাজে উদ্ভাবকগণের কাছে এক অজানা সুযোগ বয়ে আনার সুযোগ করে দেয়।
সংঘ
মুলত: জেলেদেরকে বাজারের সহিত সম্পৃক্ত করা, মৎসখাতের উন্নত ব্যবস্থাপনার গড়ে তোলা এবং জেলেদের একটা নেটওয়ার্ক তৈরি করার লক্ষ্যে গত ১৭ জুন ২০১৪ তারিখে অনুষ্ঠিত আমাদের সমুদ্র সভায় (Our Ocean Conference) যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারী অব ষ্টেট, জন কেরী mFish এর উদ্বোধন করেন। মানুষের জীবনমান এবং ক্ষুদ্র পরিসরের ও প্রাকৃতিক মৎস এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে মোবাইল প্রযুক্তির ব্যাপকতাকে কাজে লাগানোর জন্য নিম্নে বর্ণিত অংশীদারগণ তাদের সম্পৃক্ত থাকার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন:
- যুক্তরাষ্টের ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের অফিস অব গ্লোবাল পার্টনারশীপস্
- জিএসএম এসোসিয়েশন
- ইকোহাব
- ইন্দোনেশিয়ার মিনিষ্ট্রি অব মেরিন এ্যাফেয়ার্স এন্ড ফিশারিজ
দ্যা পিলারস্
জেলে, ম্যানেজার এবং সামদ্রিক খাদ্য শিল্পকে যোগাযোগ, তথ্য প্রাপ্তি এবং তথ্য-উপাত্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে শেয়ারের ক্ষেত্রে তাৎক্ষনিকভাবে তথ্য সরবরাহে সহায়তার লক্ষ্যে mFish মোবাইল সেবাকে কাজে লাগিয়ে থাকবে। মাছ ধরা, অবৈধ মাছ ধরাকে নজরদারি করা, সাপ্লাই চেইন অনুযায়ী সামদ্রিক খাদ্যের অবস্থান জানা এবং মৎস্য আহরণের সময়ে নিরাপত্তার জন্য তথ্য সংগ্রহ ও বিচার-বিশ্লেষণের জন্য মোবাইল সেবাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে mFish নিম্নে বর্ণিত ৪টি বিষয়ের উপড় গুরত্বারোপ করে থাকবে:
- ব্যবহারযোগ্যতা: মাছ ধরাকে যতটা সম্ভব উত্তোলনযোগ্য করে তোলা এবং মৎস্য গ্রাম সমূহের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন করা।
- নিয়োজিতকরণ: পৌছেঁ যাওয়া, শিক্ষা দেয়া এবং কম সুবিধা প্রাপ্ত জেলে সম্প্রদায়কে নিয়োজিত করা।
- মোবাইল প্রযুক্তির সমাধান: জেলে, ম্যানেজার এবং সামদ্রিক খাদ্য শিল্পের যোগাযোগ, তথ্য সংগ্রহ এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে তথ্য-উপাত্ত শেয়ার করার ক্ষেত্রে তাৎক্ষনিকভাবে তথ্য সরবরাহের নিমিত্তে মোবাইল সেবার ব্যবহার।
- সীমা: জেলেদেরকে বাজারের সহিত সম্পৃক্ত করা এবং মৎসখাতের উন্নত ব্যবস্থাপনার গড়ে তোলা এবং জেলেদের একটা নেটওয়ার্ক তৈরি করা।
রেফারেন্স: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট ওয়েবসাইট
যে সকল আইকন এই সাইটে ব্যবহার করা হয়েছে তা লাইনী Linea এর সৌজন্যে.